কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব

কোরআনের মর্ম বোঝার গুরুত্ব

পবিত্র কোরআন যখন গভীর বোধ ও মনন নিয়ে পাঠ করা হবে, তখন কোরআনের বহুমুখী আলো বান্দার হৃদয়জগতে উন্মোচিত হবে। আত্মা হবে পরিশুদ্ধ। মনোজগৎ হবে দীপ্তিমান।

আল্লাহ তাআলা চিন্তাভাবনা করে কোরআন তিলাওয়াত না করার কারণে কাফের ও মুনাফিকদের ভর্ৎসনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ওরা কি কোরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে?’ (সুরা মুহাম্মদ: ২৪)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা কি কোরআন নিয়ে ভাবে না? যদি এ কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও তরফ থেকে অবতীর্ণ হতো, তবে তারা এতে বহু সাংঘর্ষিক কথাবার্তা পেত।’ (সুরা নিসা: ৮২)

পবিত্র কোরআন নাজিলের মৌলিক একটি উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর নিদর্শনাবলি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। আল্লাহ বলেন, ‘আপনার কাছে নাজিল করা আমার এই বরকতময় কিতাব এ জন্য যে, যেন তারা ভাবনা-চিন্তা করে এবং জ্ঞানীরা এখান থেকে উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা সোয়াদ: ২৯) বোঝাই যাচ্ছে, যারা পবিত্র কোরআন থেকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করে না, তারা প্রকৃত জ্ঞানী নয়।

কোরআন থেকে উপদেশ গ্রহণের জন্যই আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর ঘটনা বর্ণনা করেছেন। যেমন আদ, সামুদ, ফেরাউন ইত্যাদি। এগুলো নিছক গল্প কিংবা ইতিহাস হিসেবে আল্লাহ বর্ণনা করেননি। এসব থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করাই এর আসল উদ্দেশ্য। এ জন্য পবিত্র কোরআনে বুঝে বুঝে পড়ার কোনো বিকল্প নেই। 

 এখন থেকে নিয়মিতভাবে অনুবাদসহ পবিত্র ক্বোরআন তিলাওয়াত করতে নিচের লিংকে ক্লীক করুন।

  মহা গ্রন্থ আল-ক্বোরআন এর বাংলা অনুবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post